বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও খ্যাতিমান ব্যাংকার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক অফিসার্স বাংলাদেশ (ABOB) এর উপদেষ্টা খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর নেই।
আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ (আশি) বছর।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের ছেলে খোন্দকার সাঈদ বাংলানিউজকে বলেন, বাবা ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে পিজি হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন। সকাল ১১টায় সেগুনবাগিচার কচিকাঁচার মেলায় রাখা হবে তার মরদেহ। পরে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা শেষে গোপালগঞ্জ সদরে দাফন করা হবে।
গত মাসে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জে (সদর উপজেলার গোপিনাথ পুর গ্রামে) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৬৩ সাল থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ১৯৯৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক এবং ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
তিনি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির উপর তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন ইব্রাহিম খালেদ। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক অফিসার্স বাংলাদেশ (ABOB) এর উদ্যোগে ব্যাংকিং খাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তাঁকে ন্যাশনাল ব্যাংকার্স এওয়্যার্ড-২০১৯ এর জন্য মনোনীত করা হয় কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত বিরুপ পরিস্থিতির কারনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সম্মানিত করার সুযোগ হয়নি।
ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে ‘খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০০ সাল থেকে তিনি কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সূত্রঃ বাংলানিউজ24.কম
Leave a Reply