আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা যমুনা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আবুল খায়ের ( সাবেক এম,এন,এ) এর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর- কাশিয়ানী এলাকা থেকে জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন।
জাতির পিতার এ ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্থ সহচর ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,একজন শিল্প উদ্যোক্তা।তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষন রেকর্ড করে সংরক্ষনের উদ্যোগ নেন। তিনি ছিলেন যমুনা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বহু সংগঠনের সংগঠক। তাঁর পদচারনা ছিল জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে। বিখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র সুতরাং এর প্রযোজক ছিলেন এম এ খায়ের। ছয়দফা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপক্ষে জয়বাংলা নামক চলচ্চিত্র নির্মান করে তৎকালীন সরকারের বিরাগভাজন হন এই দেশ প্রেমিক বঙ্গ সন্তান।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ সরকার ২০১৪ সালে তাকে স্বাধীনতা পদকে (মরনোত্তর) ভূষিত করেন।
আজ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ৮ম তলায় মুকসুদপুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনাড়ম্বর ভাবে এই মুকসুদপুরের কৃতি সন্তানের মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। সোনালী ব্যাংকার আনিচ মুন্সীর সঞ্চালনায় এবং এনায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম এম খায়ের বড় ছেলে বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক জনাব খাইরুল আনাম শাকিল। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুকসুদপুর সংবাদের সম্পাদক হায়দার হোসেন, যমুনা ব্যাংকের মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ,এবি ব্যাংকের মোহাম্মদ শামীম ও শফিকুল হক মনির।
Leave a Reply