মহানবীর হাদিসের আলোকে ছন্দের কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন “যদি একটি পয়সা জোটে খাবার কিনো খুদার লাগি, যদি দুটি পয়সা জোটে ফুল কিনো হে অনুরাগী”। আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বোদ্ধারা বানিয়েছেন “দুই পয়সার আলতা”। বর্তমানে লোকজন যেখানে কোটি কোটি টাকার পিছনে ছোটে আমি সেখানে দুই পয়সার পিছনে ছুটেও হালে পাচ্ছি না। বাংলাদেশ ব্যাংক অচল না করলেও মুদ্রাস্ফীতির কারনে দুই পয়সা এখন বিলুপ্ত প্রায়। সবচেয়ে বড় কথা হল দুই পয়সা সম্পর্কে অনেকের ধারণাই নাই। একটা তথ্য না জানা দোষের না কিন্তু জানার আগ্রহ না থাকা বা অস্তিত্ব অস্বীকার করা দোষের।কৌতুহল প্রিয় আমার দুই পয়সা সম্পর্কে জানতে ত্রিশ বছর বয়স হতে হয়েছে এবং ব্যাংকে তিন বছর চাকুরী করতে হয়েছে। আবার অনেক ত্রিশ বছর ব্যাংকে চাকুরী করে অবসরে গিয়েও দুই পয়সা দেখা তো দুরের কথা নাম ও শোনেন নি। তাও দোষের না। দোষ তখনই যখন নিজের অজ্ঞতা ঢাকতে বলে দুই পয়সার মুদ্রা কখনও ছিল না। তাই আমার আগ্রহ বেড়েছে। দুই পয়সার মুদ্রা সংগ্রহ করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চাই এবং তথ্য বিভ্রাট দুর করতে চাই। দুই পয়সা বিলুপ্ত হলেও দোষের না কিন্তু বাংলাদেশের মুদ্রার ইতিহাস থেকে দুই পয়সার তথ্য হারিয়ে যাওয়া উদ্বেগপূর্ণ। প্রথম আলোর মতো পত্রিকা অচল পয়সা সচল পয়সা শিরোনামের লেখায় যখন দুই পয়সার বর্ণনা থাকে না তখন উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। এক বয়োজোষ্ঠ মুরব্বী যখন বলে উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের নেতা আমি মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ বানালেও দুই পয়সা বানানো হয়নি তখন নিজকে দুই পয়সার চেয়ে কম দামি মনে হয়। তাই মনে চায় দুই পয়সা সংগ্রহ করে নিজের জ্ঞান যাচাই করি অপরকে সঠিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেই।
লেখক : আ:মু:, ব্যাংকার
Leave a Reply