জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর স্বাধীনতা উত্তর অর্থনৈতিক পুনবার্সন, পুর্ণগঠন ও সংস্কারের উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা হলো কেন্দ্রীয় ব্যাাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ পুর্নগঠন।
১৯৭০ সনে সাইক্লোন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসলীলার ফলে দেশের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পরে। ১৯৭০ সালে সাইক্লোনে তৎকালীন মোট জাতীয় উৎপাদনের ৩.৮০% বিনষ্ট হয়। পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় সাইক্লোন বিধ্বস্ততা মোকাবেলা করার জন্য অর্থনৈতিক বা সামাজিক পুনবার্সনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতি। বাংলাদেশ ব্যাংকে কোন বৈদেশিক মুদ্রা বা গোল্ড রিজার্ভ ছিল না। দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন কাঠামো, আর্থিক কাঠামো, ব্যাংক ব্যবস্থা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। দেশের ভেতরে ব্যাংকের বহু শাখা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, বহু শাখা লুট করা হয়েছিল, হত্যা করা হয়েছিল অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাঙালী ব্যাংকারদের। যুদ্ধচলাকালীন সময়ে এ দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানত ও কেন্দীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে দেয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে।
এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ পুর্নগঠন ছিল দূরহ কাজ। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের নীতি নির্ধারণী কাজ, মুদ্রা ও বিষয়ক ব্যাংকিং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতো পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে। এই অবস্থায় পুরো ব্যাংক ব্যবস্থা পুনর্বাসন ও অর্থনৈতিক গতি চালু করতে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি আদেশ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করা হয়। এই আদেশ কার্যকর করা হয় ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম প্রশাসক নিযুক্ত করা হয় জনাব মুশফেক-উস-সালেহীন এবং ১৮ই জানুয়ারী, ১৯৭২ প্রথম গর্ভনর নিযুক্ত করা হয় জনাব এ. এন. হামিদুল্লাহকে। কোন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও গোল্ড রিজার্ভ ছাড়া এবং পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া ৩৫৮ কোটি টাকা দায় মাথায় নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের যাত্রা। পাকিস্তানের বিরোধিতা স্বত্বেও ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করেছিল এবং আন্তজার্তিক মুদ্রা তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য চাঁদা বাবদ ২০ লক্ষ ডলার মূল্যের স্বর্ণ কানাড সরকারের কাছ থেকে ক্রয় করেছিল। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে একাউন্ট খোলা হয়েছিল, ফলে স্টারলিং এলাকার সদস্য হয়েছিল। আন্তজার্তিক মুদ্রা তহবিলের সদস্য পদ লাভ করেছিল; এই তহবিল থেকে নিজস্ব ভাগ বা কোটা এবং প্রত্যাহার বা ড্র্ইংয়ের অধিকার দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ছয় মাসের মধ্যে ৯৫.০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানী করতে সক্ষম হয়েছিল।
১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ছিল না। পরবর্তীতে নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ এর পরিমান ছিল জুন, ১৯৭৩ মাসে ১২৫.৩৪ কোটি; জুলাই, ১৯৭৩ মাসে ১৩৫.৬৮ কোটি; আগস্ট, ১৯৭৩ মাসে ১৫০.৬২ কোটি; সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ মাসে ১৫১.৫১ কোটি; অক্টোবর, ১৯৭৩ মাসে ১৫১.৬৯ কোটি; নভেম্বর, ১৯৭৩ মাসে ১৩৫.১৩ কোটি এবং ডিসেম্বর, ১৯৭৩ মাসে ১১৬.১৫ কোটি টাকা। এছাড়াও রেকর্ডসূত্রে জানা যায় ১৯৭৪ সালের মাস ভিত্তিক রিজার্ভ স্থিতি ছিল জানুয়ারি মাসে ৯৬.৪৯ কোটি, ফেব্রæয়ারি মাসে ৭৫.৯৭ কোটি, মার্চ মাসে ৮৪.২৮ কোটি, মে মাসে ৪২.৬৯ কোটি, জুন মাসে ৮৯.২৬ কোটি, জুলাই মাসে ৭৩.৮১ কোটি, আগস্ট মাসে ৩৪.৭৭ কোটি, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৪.৫২ কোটি, অক্টোবর মাসে ৫৪.৪৭ কোটি, নভেম্বর মাসে ১০১.২৭ কোটি এবং ডিসেম্বর মাসে ১১১.৪৯ কোটি টাকা। ১৯৭৫ সালে প্রথম ত্রৈমাসিকেও রিজার্ভের পরিমান বৃদ্ধির উর্দ্ধমুখীধারা অব্যাহত থাকে, যথা- জানুয়ারি, ১৯৭৫ মাসে ১৪২.১৭ কোটি; ফেব্রæয়ারি, ১৯৭৫ মাসে ১৬৯.৭৯ কোটি এবং মার্চ, ১৯৭৫ মাসে ১৭২.৮৭ কোটি টাকা।
১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে দেখা যায় ব্যাংকের হাতে নগদ টাকা নেই, ব্যাংকে দায় ও সম্পদ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ঋণ গ্রহীতাদের অধিকাংশ অবাঙ্গালী যারা স্বাধীনতার আগে বা পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। যে সকল শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়া হয়েছিল তা অধিকাংশ বন্ধ এবং মালিক অনুপস্থিত। এই অবস্থায় ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আমানতকারীদের টাক ফেরত দিতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থায় এই নাজুক অবস্থার সামাল দিতে এবং ১৯৭০ সালে নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংক জাতীয়করণ করা হয়। স্বাধীনতার পূর্বে মোট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল ২২টি। এর মধ্যে ৩টি বিদেশ ব্যাংক, ৫টি ভারতীয় ব্যাংক, ১০টি অবাঙালী পাকিস্তানী মালিকানাধীন, ২টি বাঙালি মালিকানাধীন ব্যাংক এবং ২টি সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয় ঃ
১। গ্রাম অঞ্চলে শাখা সম্প্রসারণ করা।
২। ঋণ বন্টনের ক্ষেত্রে কৃষি ঋণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার দেয়া।
৩। রপ্তানীমুখী শিল্পে ঋণ প্রদান।
৪। বাণিজ্যিক লাভের চেয়ে সামাজিক লাভ ও সেবা প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান।
এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঃ
১। পাট কলগুলো চালু করার জন্য তাদের স্থায়ী সম্পদের বিপরীতে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা, তাদের নতুন বিনিময় হারে রপ্তানী করার সুযোগ দেয়া হয়।
২। মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তাদের বাড়ি, জমির বিপরীতে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং কোন জামানত ছাড়া ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার মাত্র) টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়।
৩। ব্যাংক গুলিকে সুস্থ প্রতিযোগীতায় ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণ করে দেয়।
৪। পূর্বে গৃহীত ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়।
উল্লেখিত ২২টি ব্যাংকের মধ্যে অবাঙালী পাকিস্তানী মালিকানাধীন ১০টি ব্যাংক এবং বাঙালী মালিকানাধীন ২টি ব্যাংক রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী জাতীয়করণ করা হয়। এর ফলে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এবং ব্যাংক অব ভাওয়ালপুর নিয়ে গঠিত হয় সোনালী ব্যাংক, যার তৎকালে অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫.০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ২.০০ কোটি টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংক ও ইউনাইটেড ব্যাংক জাতীয়করণের পরবর্তীতে হয় জনতা ব্যাংক, যার তৎকালে অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫.০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ১.৫০ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত¡ অগ্রণী ব্যাংক গঠিত হয় হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও কমার্স ব্যাংক লিমিটেড নিয়ে, যার অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫.০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ১.০০ কোটি টাকা। মুসলিম কর্মাসিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এবং অস্ট্রেলেশিয়া ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হয় রূপালী ব্যাংক, যার অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫.০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ১.০০ কোটি টাকা। জাতীয়করণের পরবর্তীতে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর নামকরণ করা হয় পূবালী ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকিং কর্পোরেশন এর নামকরণ করা হয় উত্তরা ব্যাংক। তৎকালে উক্ত ব্যাংকদ্বয়ের উভয়ের অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫.০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ১.০০ কোটি টাকা।
উল্লেখিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকিং কর্পোরেশন ছিল বাঙালী মালিকদের বাকীগুলি ছিল অবাঙালী পাকিস্তানীদের।
দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক যা পূর্বেই সরকারের মালিকানাধীন ছিল তার নাম পরিবর্তন করা হয়। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব পাকিস্তান-এর বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক হিসেবে নামকরণ করা হয়, যার পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩.০০ কোটি টাকা। এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব পাকিস্তান-এর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, যার পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩.০০ কোটি টাকা।
জাতীয়করণের থেকে বাদ দেয়া হয় ৩টি বিদেশী ব্যাংক এবং ৫টি ভারতীয় ব্যাংককে। ভারতীয় ৫টি ব্যাংক ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর অকার্যকর ছিল।
৩টি বিদেশী ব্যাংক হলো ঃ
১। আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক কর্পোরেশন
২। ন্যাশনাল এন্ড গ্রিনলেজ ব্যাংক
৩। চার্টাড ব্যাংক
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান সরকার প্রতিষ্ঠা করে ঃ
১। বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা
২। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক
১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আরো ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সরকার প্রতিষ্ঠা করে ঃ
১। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন।
১৯৭৪ সালে ব্যাংকে কর্মরত জনবলের কর্মদক্ষতা ও মেধার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) স্থাপিত হয়।
উল্লেখিত ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিশেষায়িত ব্যাংক দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালায়। দেশের জনসাধারণের নিকট সঞ্চিত অর্থ জমাকরণ এবং জমাকৃত অর্থ উৎপাদন ও ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাকা গতিশীল করার জন্য ব্যাংকের শাখার পরিমান দ্রæত বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নেয়। এ প্রেক্ষিতে ১৯৭২ সাল সমাপ্তিতে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট ১১৬৯টি শাখা ১৯৭৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১২৭৩টিতে, ১৯৭৪ সালে ১৪৯৩টিতে এবং ১৯৭৫ সালে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৫৯৪টিতে।
১৯৭২ সালে মোট ১১৬৯ শাখার মধ্যে শহর অঞ্চলের শাখা ৭৫৭টি এবং গ্রামীণ অঞ্চলে শাখা ছিল ৪১২টি।
এই ব্যাংকের শাখা বৃদ্ধিতে কৃষকদের হাতে কৃষিঋণ সহজলভ্য করতে কৃষি ব্যাংকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী হারে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কারণ কৃষি উৎপাদন, বৃদ্ধি করার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা। এছাড়া তখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিল।
বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ব্যাংক ব্যবস্থার দ্রæত উন্নয়ন ঘটেছিল।
১৯৭১-৭২ সালে তফসিলী ব্যাংকের শাখার পরিমান ছিল ১১৬৯টি, আমানতের পরিমান ছিল ৫২৩.৬১ কোটি টাকা ও ঋণ স্থিতি ছিল ৩৮৮.৫১ কোটি টাকা। যা ১৯৭২-৭৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় শাখার সংখ্যা ১২৯৫টি, আমানতের পরিমান ৭০২.৬৮ কোটি টাকা, ঋণ স্থিতি ৫৫৪.২৫ কোটি টাকা, নীট মুনাফা ১.২৪ কোটি টাকা এবং মোট নিযুক্ত লোকবল ১৭৫১০ জন। ১৯৭৩-৭৪ সালে শাখার সংখ্যা ছিল ১৫১২টি, আমানতের পরিমান ছিল ৯১৩.২০ কোটি টাকা, ঋণ স্থিতি ছিল ৭৩৭.১০ কোটি টাকা, নীট মুনাফা ছিল ৬.৭৫ কোটি টাকা এবং মোট নিযুক্ত লোকবল ছিল ২১৩২১ জন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তা উন্নীত হয়ে শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬১১টি, আমানতের পরিমান ছিল ১০১৪.২০ কোটি টাকা, ঋণ স্থিতি ছিল ৮০৬.৮০ কোটি টাকা, নীট মুনাফা হয়েছিল ৮.১৭ কোটি টাকা এবং মোট নিযুক্ত লোকবল ছিল ২৭১৭৩ জন।
এস, এম, লুৎফর রহমান
এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
installment loans installment loans installment loan